Posts

Showing posts from June, 2023

নিরক্ষীয় জলবায়ু কাকে বলে? নিরক্ষীয় জলবায়ুর অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য লেখ: madhymik vugol HS geography world geography nirokhiyo jolobayu

Image
Q)নিরক্ষীয় জলবায়ু কাকে বলে? নিরক্ষীয় জলবায়ুর অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য লেখ: Written By...... FIROZ MALLICK  Answer) •সংজ্ঞা ও নামকরণ : নিরক্ষরেখার উভয়দিকে ৫-১০ ডিগ্রি উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে যে জলবায়ু বিরাজ করে বলে নিরক্ষীয় জলবায়ু বলে।  ••অবস্থান : অক্ষাংশগত অবস্থান:- নিরক্ষরেখার উভয়দিকে ৫°-১০ ডিগ্রি উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে।  মহাদেশগত অবস্থান: জাফ্রিকার কঙ্গো,জাইরে। দক্ষিণ আমেরিকার- আমাজন অববাহিকা পেরু, বলিভিয়া। এশিয়ার- ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া প্রভৃতি স্থানে দেখা যায়। •••: নিরক্ষীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য(Characteristics of Equatorial climate ) :  (i) লম্ব সূর্যরশ্মি - সূর্য সারাবছর প্রায় লম্বভাবে কিরন দেয় ফলে, এখানে উচ্চ তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয়, বাৎসরিক গড় উষ্ণতা প্রায় 27°C।  (ii) দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য- সারা বছর এই অঞ্চলে লম্ব সূর্যরশ্মির কারণে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান অর্থাৎ, 12 ঘণ্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত্রি হয়।  (iii) বাৎসরিক উষ্ণতার প্রসার – সূর্য সারাবছর লম্বভাবে কিরন দেয় বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর মাত্র ২-৩ ডিগ্রি হয়।   (iv) বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত - ব

ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু কাকে বলে? ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ুর অবস্থান এবং বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো: madhymik vugol hs geography mousumi jolobayu

Image
  Q) ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু কাকে বলে? ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ুর অবস্থান এবং বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো:- Written by....... FIROZ MALLICK  Answer) •সংজ্ঞা ও নামকরণ: পৃথিবীর উভয় গোলার্ধে 10°থেকে 30° ডিগ্রি অক্ষাংশের মধ্যে ক্রান্তীয় অঞ্চলে সাধারণত মহাদেশে পূর্ব প্রান্তে যে উষ্ণ আদ্র জলবায়ু লক্ষ করা যায় তাকে ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু বলে। ••অবস্থান: ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু অবস্থান হল:-   অক্ষাংশগত অবস্থান: উভয় গোলার্ধে 10°-30°ডিগ্রি অক্ষাংশের মধ্যে।  আঞ্চলিক অবস্থান— এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ, আফ্রিকা মহাদেশের মাদাগাস্কার, ইথিওপিয়া। দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলের পূর্ব উপকূল। উত্তর আমেরিকার মেক্সিকো, ফ্লোরিডা উপকূলে দেখা যায়। ••ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি হল:  (i) উষ্ণ আর্দ্র গ্রীষ্মকাল ও শুষ্ক শীতকাল— গ্রীষ্মকালের সমুদ্রের উপর থেকে আদ্র মৌসুমী বায়ু স্থলভাগে প্রবেশ করায় গ্রীষ্মকাল আদ্র হয়। শীতকালে স্থলভাগের উপর দিয়ে মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হয় বলে শুষ্ক হয়।  (ii) উষ্ণতা— মৌসুমী জলবায়ু

ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল কাকে বলে? ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর:- madhomik HS geography ucchomadhymik world geography vhumoddhosagorio jolobayu Mediterranean climate

Image
  Q) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল কাকে বলে? ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর:-     Written By..... FIROZ MALLICK  Answer) •সংজ্ঞা ও নামকরণ: সাধারণভাবে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী অঞ্চলকে ভূমধ্যসাগরায় জলবায়ু অঞ্চল বলে। উভয় গোলার্ধের ঊষ্ণ নাতিশীতোষ মণ্ডলে মহাদেশগুলির পশ্চিমাংশে প্রধানত ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী অঞ্চলে আর্দ্র ও মৃদু শীতকাল, শুষ্ক উষ্ণ গ্রীষ্মকাল ও সারাবছর পর্যাপ্ত উচ্ছ্বল সূর্যকিরণযুক্ত অঞ্চলকে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল বলে।    ••অবস্থান ( Location): অক্ষাংশগত অবস্থান:- উভয় গোলার্ধে মধ্য অক্ষাংশীয় নাতিশীতোষ্ণ মন্ডলে 30°-40° অক্ষাংশে অঞ্চলটি অবস্থিত। কোথাও কোথাও 30°-45° অক্ষাংশ পর্যন্ত দেখা যায়।  মহাদেশগত অবস্থান:- পৃথিবীর মোট স্থলভাগের 1.7 % এলাকায় এই জলবায়ু বিরাজ করে।  ইউরোপের: পর্তুগাল,স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, ইত্যাদি।  এশিয়ার: সিরিয়া,জর্ডন,লেবানন,ইসরাইল ইত্যাদি  আফ্রিকার:- আলজেরিয়া,মরক্কো,লিবিয়া ইত্যাদি  আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া,দক্ষিণ আমেরিকার চিলি এবং অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশতে এই জলবায়ু দেখা যায়। •••ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য (Chara

পৃথিবীর উৎপত্তি সংক্রান্ত ল্যাপ্লাসের নীহারিকা মতবাদটি আলোচনা কর মাধ্যমিক ভূগোল hs geography ucchomadhymik vugol world geography origin of earth laplas theory

  Q. পৃথিবীর উৎপত্তি সংক্রান্ত  ল্যাপ্লাসের  নীহারিকা মতবাদটি আলোচনা কর:- Written By.... FIROZ MALLICK  Answer)মতবাদের মূল বক্তব্য: ল্যাপ্লাসের নীহারিকা মতবাদের মূল বক্তব্য গুলি হল যথা:- 1) উত্তপ্ত ঘুর্ণয়মান নীহারিকা: সৌরজগৎ সৃষ্টির আগে মহাশূন্যে উত্তপ্ত ও ঘুর্ণয়মান নীহারিকার অবস্থান ছিল । 2) নীহারিকার সংকোচন ও গতি বৃদ্ধি: নীহারিকাটি তাপ বিকিরণ করে শীতল হয়ে সংকুচিত হতে থাকলে এর ঘূর্ণন গতি বৃদ্ধি পেতে থাকে।) 3) নীহারিকার মধ্যাংশে বলের ভারসাম্য: ঘূর্ণন বেগ এমন একটা অবস্থায় পৌঁছায় যে নীহারিকার নিরক্ষীয় অঞ্চলে অভিকর্ষ বল ও কেন্দ্রবিমুখ বল পরস্পর সমান হয় ৷ 4) বস্তুকণা ছিটকে বলয় সৃষ্টি: এই সময় নীহারিকা আরও শীতল হয়ে সংকুচিত হতে থাকলে, নীহারিকার নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে বস্তুকণা ছিটকে বেরিয়ে এসে বলয়াকারে নীহারিকার চারিপাশে ওজন শূন্য অবস্থায় (যেহেতু কেন্দ্রবিমুখ ও অভিকর্ষজ বল সমান) ভসতে থাকে। 5) গ্রহ, উপগ্রহ ও সূর্য সৃষ্টি: অভিকর্ষজ বলের চেয়ে যখন কেন্দ্রবহির্মুখী বল বেশি হয়, তখন বলায়টি বিচ্ছিন্ন হয়ে 9 টি বলয়ের সৃষ্টি হয়। এই বলয় গুলি শীতল ও ঘনীভূত হয়ে পৃথিবীর সহ অন্যান্য গ্রহ

পৃথিবীর উৎপত্তি সংক্রান্ত কান্টের গ্যাসীয় মতবাদটি আলোচনা কর HS geography

 Q.পৃথিবীর উৎপত্তি সংক্রান্ত কান্টের গ্যাসীয় মতবাদটি আলোচনা কর :-                             অথবা  পৃথিবীর উৎপত্তি সংক্রান্ত প্রাচীনতম মতবাদটি আলোচনা কর:-                             অথবা  পৃথিবীর উৎপত্তি সংক্রান্ত গ্যাসীয় মতবাদটি কার ?ব্যাখ্যা কর:-  Written By Firoz Mallick Answer) জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট পৃথিবীর সহ সৌরজগতের উৎপত্তি সংক্রান্ত তার গ্যাসীয় মতবাদ প্রকাশ করেন ১৭৫৫ সালে।এটি পৃথিবীর উৎপত্তি সংক্রান্ত প্রাচীনতম মতবাদ। কান্টের মতবাদটি "গ্যাসীয় মতবাদ" নামে পরিচিত। •কান্টের মতবাদের ভিত্তি:- মাধ্যাকর্ষণ ও আবর্তনের উপর ভিত্তি করে কান্টের গ্যাসীয় মতবাদটি গড়ে উঠেছে •মতবাদের মূল বক্তব্য:- কান্টের মতবাদের মূল বক্তব্য গুলি হল যথা:- ■ প্রাথমিক বস্তুকণা: বিজ্ঞানী কান্ট বলেন, মহাবিশ্বে কুয়াশা বা মেঘের মতো ঘন নক্ষত্রপুঞ্জ শীতল ও কঠিন অবস্থায় প্রাথমিক বস্তুকণা (নীহারিকা) রূপে অবস্থান করতো। ■ বস্তুকণার সংঘর্ষ: সময়ের সাথে সাথে অভিকর্ষজ টানে বস্তুকণা গুলির নিজেদের মধ্যে পরস্পর সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের ফলে তাপের সৃষ্টি হয় এবং গতিশীল হয়ে ঘুরতে শুরু করে। ■ গ্যাসীয়