ভূমিকম্প & সুনামি HS GEOGRAPHY CLASS Xi (1St Semester

 HS GEOGRAPHY CLASS Xi (1St Semester)

                ভূমিকম্প & সুনামি

Written by........ FIROZ MALLICK

1. ভূমিকম্প হল একটি :-আকস্মিক বা দ্রুত অন্তর্জাত শক্তির উদাহরণ।


2. ভূমিভাগের আকস্মিক কম্পন হলো ভূমিকম্প। ভূমিকম্প একটি :-আকস্মিক আলোড়ন। 

3. চ্যুতিরেখা বরাবর:- সাধারণত ভূমিকম্পের কেন্দ্র সবচেয়ে বেশি অবস্থান করতে দেখা যায়।


4. ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে চারিদিকে কম্পন ছড়িয়ে পড়ে সেই তরঙ্গায়িত কম্পন হলো :-ভূমিকম্প তরঙ্গ। 

5. পর্তুগালের লিসবনে জন মিসেল 1755 সালে 1লা নভেম্বর :-সর্বপ্রথম ভূমিকম্প তরঙ্গের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন।


6.ভূমিকম্পের সময় ভূমিভাগের কম্পনের মাত্রাকে:- ভূমিকম্পের তীব্রতা বলে।


7.ভূকম্পনের সময় যে পরিমান শক্তি নির্গত হয়, সেই শক্তির পরিমাণকে :-ভূমিকম্পের মাত্রা বলে।


8. যে সকল ভুকম্পন তরঙ্গ ভূ-অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তর দিয়ে ভূপৃষ্ঠে এসে পৌঁছায় সে গুলোকে দেহ তরঙ্গ বলা হয়।যেমন :- P, S তরঙ্গ।


9.যেসব ভূমিকম্প তরঙ্গ ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে সর্বপ্রথম উপকেন্দ্রে পেঁৗঁছায় তাকে প্রাথমিক তরঙ্গ বলে।যেমন : P তরঙ্গ।


10. যে সকল ভূমিকম্প তরঙ্গ P তরঙ্গের পরে উপকেন্দ্রে এসে পৌঁছায় সেগুলি হল গৌণ তরঙ্গ। যেমন : S তরঙ্গ.


11. যেসকল তরঙ্গ ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠে উপকেন্দ্র বরাবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে, তাকে পৃষ্ঠ তরঙ্গ বলে। যেমন : L তরঙ্গ


12. যে ভূমিকম্প তরঙ্গ ভূপৃষ্ঠ বরাবর অনুভূমিকভাবে প্রবাহিত হয় তাকে লাভ তরঙ্গ বলে।


13. যে ভূমিকম্প তরঙ্গ ভূপৃষ্ঠ বরাবর উলম্ব বা উপবৃত্তাকার পথে প্রবাহিত হয় তাকে রেলে তরঙ্গ বলে।


14. সবচেয়ে বেশি ধ্বংসাত্মক তরঙ্গ হল পৃষ্ঠ বা L তরঙ্গ। L তরঙ্গ শুধু কঠিন মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারে।


15. S তরঙ্গ তরল মাধ্যমে চলাচল করতে পারে না। অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারে ভূমিকম্প তরঙ্গের গতিবেগ সবচেয়ে কম।


16. বিজ্ঞানের যে শাখায় ভূমিকম্প সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে ভূমিকম্প বিদ্যা বলে।


17. যে যন্ত্রের সাহায্যে ভূমিকম্পের গতিবিধি লেখচিত্র নথিভুক্ত করা হয় তাকে সিসমোগ্রাফ বলে।


18. সিসমোগ্রাফ এর কার্যাবলী- (i)ভূমিকম্পের তীব্রতা নির্ণয় (ii) গতিবিধি স্থায়িত্ব (iii) সূচক লেখচিত্র অঙ্কন।


19. 1892 সালে জন মিলান প্রথম সিসমোগ্রাফ ব্যবহার করেন।


20. যে স্কেলের সাহায্যে ভূমিকম্পের তীব্রতা শক্তির মাত্রা পরিমাপ করা হয় তাকে রিখটার স্কেল বলে।


21. আমেরিকান ভূকম্পবিদ চার্লস রিখটার এই স্কেল আবিষ্কার করেন। ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপা হয়।


22. রিখটার একটি লগারিদম স্কেল যার মান:-  0 থেকে 10 পর্যন্ত। 

*1 ইউনিট বৃদ্ধি পেলে তীব্রতা 10 গুণ বৃদ্ধি পায়।


23. মার্কালি স্কেল :- হল ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপক একটি স্কেল। 0-12 ভাগের মাধ্যমে তীব্রতা দেখানো হয়।


24. মার্কালি স্কেলে তীব্র ভূমিকম্প VIII-XII.


25. ভূ-অভ্যন্তরে যেখানে ভূমিকম্প তরঙ্গের প্রথম উদ্ভব হয় সেই স্থানকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বা উৎস বলা হয়।


26. ভূমিকম্পের কেন্দ্র ভূপৃষ্ঠ থেকে:- প্রায় 700 কিমি গভীরে অবস্থান করে।


27. ভূপৃষ্ঠ থেকে:- 15 থেকে 35 কিমি গভীরে ভূমিকম্পের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি হয়।


28. ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠের ঠিক উপরের স্থানকে ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র বলে। 


29.ভূমিকম্পের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয় :-ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রে। ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব সর্বাধিক হয়।


30. ভূমিকম্পের সমান তীব্রতা যুক্ত অঞ্চল গুলিকে যুক্ত করলে যে কাল্পনিক রেখা পাই, তাকে সমকম্পন রেখা বলে।


31. মানচিত্রে সম ভূমিকম্পন রেখাগুলির আকৃতি হয় :-উপবৃত্তাকার। 


32.ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রে ভূমিকম্পের তীব্রতা যেখানে সবথেকে বেশি, তাকে প্লাইস্টোসিসমিক অঞ্চল বলে।


33 . কোন স্থানে ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনাকে ভূমিকম্পের প্রবণতা বলা হয়।


34. কোন ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ভূমিকম্প না হলে সেই সময়ের ব্যবধানকে ভূমিকম্প বিচ্ছেদ বলে।


35. ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র এর বিপরীত দিকে (180° কৌণিক দূরত্বে) অবস্থিত স্থানটিকে প্রতিপাদ কেন্দ্র বলে।


36.ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে উপকেন্দ্রের দিকে ভূমিকম্প তরঙ্গ উলম্বভাবে প্রবাহিত হয়।


37. অভিসারী পাতসীমান্ত তল সংলগ্ন অঞ্চলে ভূ-অভ্যন্তরে ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলকে বলে বেনি অফ মন্ডল বলে


38. উপকেন্দ্র থেকে 104° থেকে 140° অঞ্চলকে ছায়া অঞ্চল বলে।


39. রাজস্থানের পোখরানে পরমাণু বিস্ফোরণে ভূমিকম্প সৃষ্টির ফলে ওই অঞ্চলের ফাটল সৃষ্টি হয়েছিল।


40. ভূমিকম্পের ফলে নলকূপের মধ্য দিয়ে রেডন গ্যাস এবং প্রস্রবণ দিয়ে হিলিয়াম গ্যাস নির্গত হয়।


41. ভারতের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল। ভারতের প্রায় 60% অঞ্চল ভূমিকম্প প্রবণ।


42. ক্যালিফোর্নিয়াতে আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প সমীক্ষা কেন্দ্র অবস্থিত। *নবীন ভঙ্গিল পর্বতের সমস্থিতিক ভূমিকম্প দেখা যায়। 


43. প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা অঞ্চল (প্রায় 68 শতাংশ) পৃথিবীর সর্বাধিক ভূমিকম্প প্রবণ।


44. গুজরাটের ভুজ অঞ্চলে ভূমিকম্প হয় 2001 সালে। মহারাষ্ট্রের কয়না ভূমিকম্প ঘটেছিল 1967 সালে। 


45. মহাসাগর গুলোর মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগর সর্বাধিক ভূমিকম্প প্রবণ। 

*জাপানকে ভূমিকম্পের দেশ বলে।


46. ব্রাজিলে পৃথিবীর সবচেয়ে কম ভূমিকম্প হয়। 

*ইতালি দেশটি ইউরোপের মধ্যে:- সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প প্রবণ দেশ।


47.সুনামি কথার অর্থ হল বন্দর ধ্বংসকারী ঢেউ। 

গভীর সমুদ্রে সুনামির গতিবেগ হয় প্রায় 700 কিমি প্রতি ঘন্টায়।


48. DART পদ্ধতিতে সুনামির পূর্বাভাস দেওয়া হয়। ভারতের হায়দ্রাবাদে সুনামি সতর্কবার্তা কেন্দ্র স্থাপিত।

49.DART: Deep Ocean Assessment & Reporting of Tsunami.


50.BPR: Bottom Pressure Recording.


51. সুনামির কারণ :- ভূমিকম্প, পাতের সঞ্চালন, অগ্নুৎপাত, ধ্বস, উল্কাপাত







Comments

Popular posts from this blog

Scale B.A B.Sc Practical HS Geography practical GEOGRAPHY PRACTICAL GRADUATION :- SCALE উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল প্র্যাক্টিক্যাল স্কেল ucchomadhymick practial Scale

GEOGRAPHY PRACTICAL :- SQUARE DIAGRAM

🏜 পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণ ও শীতল মরুভূমি সমূহ🏜 মরুভূমি moruvumi Desert Sahara Gobi Kalahari thor desert