হিমোবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলি চিত্রসহ ব্যাখ্যা কর:-(মাধ্যমিক২০২০) হিমবাহ মাধ্যমিক ভূগোল

 

Q) হিমোবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলি চিত্রসহ ব্যাখ্যা কর:-(মাধ্যমিক২০২০)

Written by FIROZ MALLICK 

Ans.হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলি হল যথা:- 

1.গ্রাবরেখা।

2. বহিঃ বিধৌত সমভূমি।

3. ড্রামলিন

4. এসকার।

5. কেম।

6.আগামুক।

7.বোল্ডার- ক্লে।



1.গ্রাবরেখা:- হিমবাহ প্রবাহের ফলে বিভিন্ন আকৃতির নুড়ি,কাকর প্রভৃতি পার্বত্য অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হিমবাহের সাথে স্তুপাকারে সঞ্চিত হলে তাকে গ্রাবরেখা বলে।




 •উদাহরন:- তিস্তা নদীর উচ্চ অববাহিকায় গ্রাবরেখা দেখা যায়।


•বৈশিষ্ট্য:- ১) পর্বতের উপরিভাগে গ্রাবরেখা বেশি দেখা যায়।

২) নুড়ি পাথর গুলি গ্রাবরেখায় স্তুপাকারে বা রেখার মতো সঞ্চিত হয়।

৩) গ্রাফরেখা বিভিন্ন প্রকারের হয় যেমন পার্শ্ব গ্রাবরেখা, মধ্য গ্রাবরেখা, প্রান্ত গ্রাবরেখা, ভূমি গ্রাবরেখা ইত্যাদি।


2. বহিঃ বিধৌত সমভূমি:- হিমবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে শিলাখন্ড নূরী,কাঁকর,বালি প্রভৃতি পর্বতের পাদদেশ অঞ্চলে সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমির সৃষ্টি করে তাকে বহিঃ বিধৌত সমভূমি বা Outwash Plain বলে।



•উদাহরন:- হিমালয় পর্বতের পাদদেশে দেখা যায়।

•বৈশিষ্ট্য:- ১) পার্বতীর পাদদেশ অঞ্চলে সৃষ্ট সমভূমি এটি।

২) হিমবাহ ও জলধারার মিলিত সঞ্চয় কার্যের ফলে এটি সৃষ্টি হয়।

৩)বহিঃ বিধৌত সমভূমিতে ক্রেতল হ্রদ ও নব সৃষ্টি হয়।


3. ড্রামলিন :- বহিঃ বিধৌত সমভূমির কাছে বা ওপরে হিমবাহ ও জলধারা বাহিত শিলাখণ্ড নূরী কাকর বালি প্রভৃতি উঁচু ভাবে সঞ্চিত হয়ে উল্টানো নৌকা বা উল্টানো চামচের মত যে ভূমিরূপটি গঠন করে তাকে ড্রামলিন বলা হয়। 



•উদাহরন:- স্কটল্যান্ড ও সুইডেন,উত্তর ইংল্যান্ড,উত্তর আয়ারল্যান্ড এ দেখা যায়

•বৈশিষ্ট্য: ১) ড্রামলিং কিছুটা লম্বা তে এবং উল্টানো নৌকার মতো দেখতে হয়।

২) ড্রামলিনের অক্ষটি হিমবাহের প্রবাহের সমান্তরালে থাকে।

৩) একসঙ্গে অসংখ্য ড্রামলিন গড়ে উঠলে সেটি দেখতে ঝুড়ি ভর্তি ডিমের মতো হয়। একে "Basket of egg topography " বলে।


4. এসকার:-  হিমবাহ ও জলধারার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত পাথর,বালি,নুড়ি, কাকর,কাদা প্রভৃতি হিমবাহের তলদেশে সঞ্চিত হয়ে যে আঁকাবাঁকা শৈলশিরা আকৃতির ভূমিরূপ গঠন করে তাকে এসকার বলে।


•উদাহরণ:- আয়ারল্যান্ড,ফিনল্যান্ড এ দেখা যায়।

•বৈশিষ্ট:- ১) এদের দৈর্ঘ্য কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হলেও উচ্চতা প্রায় ৩-৫মিটার পর্যন্ত হয়।

২) আঁকাবাঁকা শৈলশিরা আকৃতির হয়।

৩) হিমবাহ ও জলধারার মিলিত সঞ্জয় কাটছে ফলে সৃষ্টি হয়।


5. কেম:- হিমবাহ অধ্যুষিত পর্বতের পাদদেশের হ্রদে হিমবাহ ও জলধারা বাহিত নুড়ি, কাকর বালি কাদা, পলি রাশি গুলি সঞ্চিত হয়ে যে ব-দ্বীপের মত ত্রিকোণাকার ভূমিরূপটি গঠন করে তাকে কেম বলা হয়।

•উদাহরন:- 

•বৈশিষ্ট্য:- ১) এটি উচ্চতা প্রায় ১০ থেকে ১২ মিটার হয়।

২) এটি দেখতে ত্রিকণাকার আকার বা বদ্বীপের মতো হয়।

৩) কেম ধাপে ধাপে গঠিত হলে তাকে কেম সোপান বা কেম মঞ্চ বলে।


6) আগামুক:- হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে পার্বতীর পাদদেশে বড় বড় প্রস্তরখণ্ড দ্বারা গঠিত ভূমিরূপ কে আগামুক বলে।


7) বোল্ডার-ক্লে:-পর্বতের পাদদেশ অঞ্চলে পোস্টর খন্ড গুলি কাদাও বালির ওপর সঞ্চিত হলে তাকে বোল্ডার- ক্লে বা টিলা বলে। 











Comments

Popular posts from this blog

Scale B.A B.Sc Practical HS Geography practical GEOGRAPHY PRACTICAL GRADUATION :- SCALE উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল প্র্যাক্টিক্যাল স্কেল ucchomadhymick practial Scale

GEOGRAPHY PRACTICAL :- SQUARE DIAGRAM

🏜 পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণ ও শীতল মরুভূমি সমূহ🏜 মরুভূমি moruvumi Desert Sahara Gobi Kalahari thor desert