Posts

Showing posts from August, 2023

Plate Tectonic theory পাত সংস্থান তত্ত্ব ব্যাখ্যা কর

  Q) Briefly described Plate Tectonic theory পাত সংস্থান তত্ত্ব ব্যাখ্যা কর : Written By..... FIROZ MALLICK Answer:  INTRODUCTION :- ১৯৬০ এর দশকে পাত সংস্থান তত্ত্বের অবতারণার ফলে বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক ঘটনাগুলির jemon- সমুদ্র বক্ষের বিস্তার, অগ্নুৎপাত,ভঙ্গিল পর্বতের গঠন প্রভৃতি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পাওয়া সম্ভব হয়েছে। •Founder of Plate Tectonic:- পাত বা প্লেট কথাটি সর্বপ্রথম বলেছিলেন উইলসন এবং "পাত সংস্থান তত্ত্বের" জনক হলেন পিচো। •Classification of Plates: পৃথিবীতে প্রধানত তিন ধরনের পাত লক্ষ্য করা যায়। যথা:-  1.বৃহৎ পাত । 2.মাঝারি পাত । 3.ক্ষুদ্র পাত। পৃথিবীতে প্রধান সাতটি বৃহৎ পাত রয়েছে সেগুলি হল:- 1. ইউরেশীয় পাত। 2. ইন্দো অস্ট্রেলিয়া পাত ।3. আফ্রিকা পাত। 4. উত্তর আমেরিকা পাত। 5. দক্ষিণ আমেরিকা পাত। 6.প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত। 7. আন্টার্কটিকা পাত। •পাত সংস্থান তত্ত্বের মূল বক্তব্য:  এই তত্ত্ব অনুযায়ী, পৃথিবীর কঠিন আবরণ অর্থাৎ ভূত্বক একটানা বিস্তৃত নয়। বরং এটি কতকগুলি ভূখণ্ডের সমন্বয়ে গঠিত। এগুলি প্লেট বা পাত নামে অভিহিত। এই পাতগুলি প্রচণ্ড উত্তপ্ত ও সান্দ্র অ্...

সাঁওতাল বিদ্রোহের (১৮৫৫-৫৬ খ্রি.) প্রধান কারণগুলি কী কী ছিল? এই বিদ্রোহের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো madhymik history suggestions madhymik history

Q)সাঁওতাল বিদ্রোহের (১৮৫৫-৫৬ খ্রি.) প্রধান কারণগুলি কী কী ছিল? এই বিদ্রোহের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। ৫+৩ Answer) Introduction : আদিবাসী বিদ্রোহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ব্যাপক ও তাৎপর্যপূর্ণ বিদ্রোহ ছিল ১৮৫৫-৫৬ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত সাঁওতাল বিদ্রোহ। •সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ গুলি নিম্নে আলোচনা করা হল:  1)রাজস্ব আরোপ : কঠোর পরিশ্রমী সাঁওতালরা রাজমহল, মুর্শিদাবাদ অঞ্চলের জঙ্গল কেটে নতুন কৃষিক্ষেত্র তৈরি করেছিল। তারা এর নাম দেয় ‘দামিন-ই-কোহ’ বা 'পাহাড়ের প্রান্তদেশ'। সরকার ও জমিদারদের হাত এই মুক্ত অঞ্চলে প্রসারিত হয়। ব্রিটিশ সরকার নিযুক্ত জমিদাররা সাঁওতালদের জমির ওপর উচ্চহারে রাজস্ব চাপালে সাঁওতালরা বিপন্ন হয়।   2)অন্যান্য কর : সাঁওতালরা প্রাপ্য মিটিয়ে দিলেও জমিদার ও তাদের পাইকরা পুনরায় জমির জন্য কর দাবি করে। ভূমিরাজস্ব ছাড়াও সাঁওতালদের ওপর বিভিন্ন ধরনের কর চাপানো হয়। পুলিশ জমিদারদের সহায়তা করে। বাঙালি ও বিহারি জমিদার বা দিকু জমিদার সাঁওতালদের নির্মমভাবে শোষণ করে। ।  3)সাঁওতালদের এলাকায় দিকুদের নির্যাতন : সাঁওতালদের এলাকায় বহিরাগত মহাজন, জমিদার, যাদের ‘দিকু’ বলা হত তারা...

নীল বিদ্রোহের গুরুত্ব ও প্রকৃতি সম্পর্কে আলোচনা করো। মাধ্যমিক ইতিহাস suggestion madhymik history suggestions

  Q) নীল বিদ্রোহের গুরুত্ব ও প্রকৃতি সম্পর্কে আলোচনা করো। (মান 5+3) উত্তর » ভূমিকা : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে পরবর্তী কৃষক আন্দোলনগুলির মধ্যে সবচেয়ে সংগ্রামী ও ব্যাপক কৃষক আন্দোলন হল ১৮৫৯-৬০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার নীল বিদ্রোহ।  •নীল বিদ্রোহের গুরুত্ব  গুলি নিম্নে আলোচনা করা হল: 1) নীল কমিশন গঠন : নীল বিদ্রোহের তীব্রতায় ইংরেজ নীলকর সাহেবরা নীলকুঠিগুলি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। বিদ্রোহের চাপে পড়ে বাংলার ছোটোলাট জে পি গ্রান্ট ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে ‘নীল কমিশন' গঠন করেন। নীল কমিশনের রিপোর্ট পাওয়ার পর সরকার ঘোষণা করে যে, জোরজবরদস্তি করে কাউকে নীল চাষ করানো যাবে না। 2) গণ আন্দোলন : নীল বিদ্রহ একটি গণ আন্দোলন। বাংলার ছোট লাট লক্ষ লক্ষ লোকের তীব্র  অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ বলেছেন। 3)জাতীয় চেতনার উন্মেষে সহায়তা : এই বিদ্রোহ পরোক্ষভাবে জাতীয় চেতনার উন্মেষে সাহায্য করেছিল। 4)ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের গুরুত্ব : নীল বিদ্রোহ প্রমাণ করেছিল। যে, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কাছে স্বৈরাচার মাথা নত করতে বাধ্য। নীল বিদ্রোহের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে শিশিরকুমার ঘোষ বলেছেন, “এই নীল বিদ্রোহই সর্বপ্রথম দেশের লোককে রাজনৈতি...

ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সম্পর্কে আলোচনা করো,অথবা উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থার কু প্রভাব গুলো আলোচনা কর: madhymikhistory suggestions madhymik itihas suggestions HS geography Suggestions HS history suggestions

Q)ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সম্পর্কে আলোচনা করো:-                      অথবা উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থার কু প্রভাব গুলো আলোচনা কর:- (মান 8) Answer ): ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে সরকারি, বেসরকারি ও মিশনারিদের উদ্যোগে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার ঘটেছিল। পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের পেছনে ইংরেজ মিশনারি, বিশেষত শাসকদলের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল।  নিম্নে সে গুলো আলোচনা  কর:-  1)সরকারের উদ্দেশ্য ও সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদী নীতি : ঔপনিবেশিক সরকার চেয়েছিল, দেশ শাসনের প্রয়োজনে একটি ইংরেজি শিক্ষিত শ্রেণি সৃষ্টি করতে। এই শিক্ষিত সম্প্রদায় কোম্পানির কর্মচারীর অভাব পূরণ করবে এবং কোম্পানির শাসনের অন্ধ সমর্থকে পরিণত হবে—এটাই সরকার চেয়েছিল।  অপরদিকে, মিশনারিদের ভারতে শিক্ষাবিস্তারের মূল উদ্দেশ্য ছিল খ্রিস্টান ধর্মের মাহাত্ম্য প্রচার করা এবং ভারতীয়দের ধর্মান্তরিত করা। 2)গণশিক্ষার অভাব : ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থায় কেবলমাত্র উচ্চবর্গের মানুষদের শিক্ষিত করে তোলার ব্যাপারে সরকারি প্রয়াস পরিলক্ষিত হয়েছিল। ভারতের অধিকাংশ মানুষকেই অজ্...

হিন্দু মেলা কিভাবে তার জাতীয়তার আদর্শ ও উদ্দেশ্যগুলি জনসমক্ষে তুলে ধরে তাআলোচনা কর অথবা হিন্দু মেলার উদ্দেশ্য গুলি লেখ , ভারতীয় ইতিহাসে হিন্দু মেলার কার্যাবলী আলোচনা কর টিকা লেখ হিন্দু মেলা , মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন madhymik history suggestions HS history suggestions ucchomadhymik history suggestions

  Q)হিন্দু মেলা কিভাবে তার জাতীয়তার আদর্শ ও উদ্দেশ্যগুলি জনসমক্ষে তুলে ধরে তা আলোচনা কর:-                      অথবা  হিন্দু মেলার উদ্দেশ্য গুলি লেখ এবং ভারতীয় ইতিহাসে হিন্দু মেলার কার্যাবলী আলোচনা কর:                  অথবা  টিকা লেখ: হিন্দু মেলা   Answer) রাজনারায়ণ বসুর সঙ্গী নবগোপাল মিত্র ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় "হিন্দু মেলা' প্রতিষ্ঠা করেন। 'হিন্দু মেলা'র প্রথম অধিবেশন বসেছিল ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দের চৈত্র সংক্রান্তিতে। তাই গোড়ার দিকে এর নাম ছিল চৈত্র মেলা। প্রথম দিকে হিন্দু মেলার সম্পাদক ছিলেন গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সহকারি সম্পাদক ছিলেন নবগোপাল মিত্র। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মনোমোহন ঘোষ ছিলেন নবগোপাল মিত্রের সহযোগী। • হিন্দুমেলার  প্রধান উদ্দেশ্য গুলি হল : ড. রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে হিন্দু মেলার তিনটি উদ্দেশ্য হল- 1) জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটানো। 2)দেশাত্মবোধ সৃষ্টি করা। 3) হিন্দুদের মধ্যে আত্মনির্ভরতার মনোভাব গড়...

আনন্দমঠ' উপন্যাসটি কীভাবে জাতীয়তাবাদী চেতনা বিস্তারে সহায়তা করেছিল? Madhymik history suggestions madhymik history HS history suggestions madhymik itihas ucchomadhymik itihas

  Q)‘আনন্দমঠ' উপন্যাসটি কীভাবে জাতীয়তাবাদী চেতনা বিস্তারে সহায়তা করেছিল? [MP প্রশ্ন ২০১৬] Answer) সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘আনন্দমঠ’ একটি তত্ত্বপ্রধান ও দেশাত্মবোধক উপন্যাস। ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ডিসেম্বর এটি প্রকাশিত হয়। ‘আনন্দমঠ' উপন্যাসের প্রধান ও প্রবল সুর হল দেশাত্মবোধ। আনন্দমঠের মধ্যে প্রধান ও প্রবল সুর দেশাত্মবোধ।   জাতীয়তাবাদী চেতনায় 'আনন্দমঠ' : ভারতে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষে ‘আনন্দমঠ' উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর এই উপন্যাসে জাতীয়তাবাদের মন্ত্র প্রচার করেছিলেন। 1.স্বদেশ প্রেম : ‘আনন্দমঠ' উপন্যাসটি সংগ্রামী জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারা প্রচারে বিশেষ সহায়ক হয়েছিল। এই গ্রন্থটি সে যুগের যুব সম্প্রদায়কে দেশপ্রেম ও সক্রিয় জাতীয়তাবাদের আদর্শে উদ্দীপিত করেছিল। স্বদেশপ্রেম যে প্রধান ধর্ম, এ কথা আনন্দমঠের সন্তানদলের মুখে উচ্চারিত হয়েছিল। 2. বিপ্লবীদের প্রেরণা : আনন্দমঠের সন্তানদল যেমন দেশমাতার উদ্ধারের জন্য আত্মত্যাগে ব্রতী হয়, সেই আদর্শে চরমপন্থীরাও উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। আনন্দমঠের আদর্শ বাঙালি তথা ভারতীয় ...

ভারতে কার্পাস বস্ত্র বয়ন শিল্পের উন্নতি কারণ গুলি লেখ

 কার্পাস বয়ন শিল্পের অনুকূল পরিবেশ: (NO-5, পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন) এ পশ্চিম ভারতে বস্ত্রবয়ন শিল্পের উন্নতির কারণ : (MP-2020) কার্পাস বস্ত্রবয়ন শিল্প একটি বিশুদ্ধ কাঁচামাল ভিত্তিক শিল্প হওয়ায় যে কোন স্থানে শিল্পকেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব। পশ্চিম ভারতে কার্পাস বস্ত্রবয়ন শিল্প গড়ে ওঠার কারন গুলি হল- 1) কাঁচামালের সহজলভ্যতা: পশ্চিম ভারতের নিকটবর্তী কৃষ্ণ মৃত্তিকা অঞ্চলে প্রচুর কার্পাস বা তুলা উৎপাদন হয় বলে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল পাওয়ার সুবিধা আছে। যেমন- মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের কৃষ্ণ মৃত্তিকা অঞ্চল থেকে কার্পাস তুলোর যোগান পাওয়া যায় সহজে। 2) আর্দ্র জলবায়ু: এই অঞ্চলের আর্দ্র জলবায়ু সুতা উৎপাদনের পক্ষে উপযোগী,আর্দ্র জলবায়ুতে সুতো ছিঁড়ে যায় না। যেমন- পশ্চিম ভারতের আরব সাগর উপকূলের আর্দ্র জলবায়ু। 3) শক্তি সরবরাহ: পশ্চিমঘাটের খরস্রোতা নদী থেকে উৎপন্ন জলবিদ্যুৎ সস্তায় শক্তি সরবরাহ করে থাকে। যেমন- ভীরা,খোপলি প্রভৃতি জলবিদ্যুৎ থেকে শক্তি পাওয়া যায়। 4) রাসায়নিক দ্রব্যের যোগান: সুতো পরিস্কার ও রং করার জন্য বস্ত্র শিল্পে ব্লিচিং পাউডার ও কস্টিক সোডা প্রভৃতি প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য প...

দুর্যোগ ও বিপর্যয় মোকাবিলা

Image
 A বিপর্যয়ের পূর্বে গৃহীত ব্যবস্থা দুর্যোগের প্রভাব রয়েছে এবং প্রভাবের মাত্রা কতটা সে বিষয়ে সঠিক তথ্য সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ অর্থাৎ শিক্ষক, গবেষক, সামাজিক 4 [a] দুর্যোগ মূল্যায়ন [Hazard Assessment) : প্রদত্ত অঞ্চলটিতে কোন প্রকার প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে নেওয়া প্রয়োজন, কিংবা সরকারি বেসরকারি প্রকল্প [Project)-এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন এবং যে কোনো বিজ্ঞানভিক্তিক পল্লীতির মাধ্যমে দুর্যোগের মাত্রা বা Zonation এর মানচিত্র তৈরী করা দরকার। A  b] বিপন্নতার মূল্যায়ন | Vulnerability Assessment) : বিপর্যস্ত অঞ্চলের দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মোকাবিলার জন্য স্থানীয় মানুষ, ক্লাব, NGO, সরকারি, বে-সরকারি সংগঠন কতটা প্রস্তুত তা জানার জন্য নিয়মিত মিটিং বা সভা করা, Check list এর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন এবং এবিষয়ে মানচিত্র প্রস্তুত করা যাকে বলা হয় Vulnerability mapping.  [c] ঝুঁকির মূল্যায়ন [Risk Assessment] : এখানে ঝুঁকি বলতে সাধারণভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বা মাত্রাকে বোঝানো হয়। বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কতটা...