Posts

Showing posts from September, 2023

বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনে সূর্য সেনের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো madhymik History suggestions

Q)বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনে সূর্য সেনের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো : অথবা,  সূর্য সেন ইতিহাসে স্মরণীয় কেন? Answer)  ভূমিকা : মাস্টারদা সূর্য সেন ছিলেন বিপ্লবীদের মধ্যে অগ্নিপুরুষ এবং চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের পথিকৃৎ। • জন্ম ও শিক্ষা : সূর্য সেন ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ২২ মার্চ চট্টগ্রামের নোয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম রমণীরঞ্জন সেন। তিনি প্রথমে চট্টগ্রাম কলেজ ও পরে বহরমপুর কলেজে পড়াশোনা করে ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে বিএ পাশ করেন। বহরমপুর কলেজেই বিপ্লবীদের সংস্পর্শে এসে গুপ্ত বিপ্লবী দলের সদস্য হন। সূর্য সেন যুগান্তর গোষ্ঠীর সদস্যরূপে বৈপ্লবিক কার্যকলাপ শুরু করেন । • শিক্ষকতা : সূর্য সেন কলেজ শিক্ষা শেষ করে স্বগ্রামে ফিরে উমাতারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা (গণিত শিক্ষক) গ্রহণ করে ধীরে ধীরে সংগঠন গড়তে শুরু করেন। এ সময়ে তাঁর সঙ্গী ছিলেন অম্বিকা চক্রবর্তী, জুলু সেন ও নির্মল সেন। তিনি সহকর্মীদের নিকট ‘মাস্টারদা' নামে পরিচিত ছিলেন। • বিপ্লবী দল প্রতিষ্ঠা : সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বিপ্লবীরা “ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি' নামে একটি সমরবাহিনী গঠন করেন। এই সমরবাহিনীর সদস্য ছিলেন

অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটি' সম্বন্ধে আলোচনা করো madhymik history suggestions madhymik itihas suggestions

Q) শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু স্মরণীয় কেন?                অথবা,  'অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটি' সম্বন্ধে আলোচনা করো। Ans)বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণ ও আত্ম ত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। এই সময়কালে অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটি স্থাপন করা হয়। 1)অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটি গঠনের পটভূমি : বঙ্গভঙ্গ- বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণ বন্ধ করার জন্য বাংলা সরকারের প্রধান সচিব আর ডব্লিউ কার্লাইল ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর একটি নির্দেশনামা জারি করেন। এটি 'কার্লাইল সার্কুলার' নামে পরিচিত। এই সার্কুলার অনুযায়ী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের বৃত্তি বন্ধ করা, বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা, বিদ্যালয়ের অনুমোদন বন্ধ করার কথা বলা হয়। অনেক ছাত্রকে সার্কুলার মোতাবেক বহিষ্কার করা হয়। সরকারের এই সার্কুলারের বিরুদ্ধে সিটি কলেজের ছাত্রনেতা শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ৪ নভেম্বর অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটি গঠন করেন। 2) অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটির প্রধান সংগঠক, পৃষ্ঠপোষক ও কার্যালয় : অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটির প্রধান সংগঠক ছিলেন শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু এবং জাপান থেকে প্রত্যাগত প্রয

বঙ্গভঙ্গ - বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা লেখ madhymik history suggestions madhymik history suggestions

  Q) বঙ্গভঙ্গ - বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা লেখ:- (man- 5) ভূমিকা : ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গের সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যে স্বদেশি ও বয়কট আন্দোলনের সূচনা হয় তাতে ছাত্রসমাজের ভূমিকা বিশেষভাবে লক্ষ করা যায়। হিন্দু-মুসলিম ছাত্ররা একত্রে জোট বেঁধে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী স্বদেশি আন্দোলনে শামিল হয়। 1) বিদেশি দ্রব্য বয়কট : বয়কট আন্দোলনে ছাত্ররাই ছিল মূল হাতিয়ার। ছাত্ররা দলে দলে পিকেটিং করে বিদেশি দ্রব্য ক্রয়ে বাধা দেয়। তারা বিদেশি পণ্যে অগ্নিসংযোগ করে। 2) স্বদেশি দ্রব্য তৈরি ও গ্রহণের জন্য প্রচার : ছাত্ররা গ্রামে-গঞ্জে স্বদেশি দ্রব্য তৈরির কাজে প্রধান ভূমিকা নেয়। তারা স্বদেশি দ্রব্য গ্রহণের জন্য জনসাধারণের কাছে আবেদন জানায়। তারাই বাংলার সর্বত্র স্বদেশির আদর্শ প্রচার করেছিল। 3) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ত্যাগ : বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্রসমাজ পরম উৎসাহের সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে এসে ভারতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে ভরতি হতে থাকে। রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এদের আন্দোলনকে 'স্বনিয়োজিত প্রচারক' বলে অভিহিত করেছেন। 4)অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটি গঠ

অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা আলোচনা করো madhymik history suggestions madhymik history madhymik itihas suggestions

  Q)অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা আলোচনা করো।( মান 5). Answer) গান্ধিজির নেতৃত্বে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে অহিংস অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এই আন্দোলনে সর্বাগ্রে সংগ্রামের পথে পা বাড়িয়েছিল বাংলার ছাত্রসমাজ। •এই আন্দোলনে ভারতীয় ছাত্র সমাজের ভূমিকা গুলি নিম্ন আলোচনা করা হলো:--- 1) ছাত্রদের ধর্মঘট ও মিছিলে অংশগ্রহণ : ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ, রিপন কলেজ ও সিটি কলেজের ছাত্ররা কলেজের পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের ২০ জানুয়ারি কলকাতার সমস্ত স্কুল ও কলেজে স্বরাজের দাবিতে পূর্ণ ধর্মঘট হয়েছিল। প্রায় তিন হাজার ছাত্রছাত্রী মিছিল করে জমায়েত হয়েছিল মির্জাপুর (শ্রদ্ধানন্দ) স্কোয়ারে এবং স্বরাজের দাবি তুলে ধরে তারা বলে যে, “স্বরাজ না পেলে আমরা কলেজে ফিরব না।” দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বয়ং সেই সভায় এসে সংগ্রামী ছাত্রদের অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। ছাত্রদের উন্মাদনা ও দেশপ্রীতি দেখে তিনি বলেছিলেন—“বাংলার ছাত্রসমাজ, আমি তোমাদের নমস্কার করি।” 2) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্জন : বয়কট আন্দোলন সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছিল শিক্ষাক্ষেত্রে। ১

চ্যুতি বা FAULT All MCQ & SAQ Question ucchomadhymik vugol suggestions HS geography Suggestions Geography

                            চ্যুতি/FAULTING 1. সাধারণত চ্যুতি হল -- শিলাস্তরে সৃষ্ট ফাটল বরাবর দু'দিকের শিলাখণ্ডের আপেক্ষিক স্থানান্তরকে বোঝায়।  2. শিলাস্তরে প্রসারণ বলের ফলে প্রধানত চ্যুতির সৃষ্টি হয়।  সাধারণত গ্রানাইট শিলাস্তরে চ্যুতি দেখা যায়। 3. বেশিরভাগ চ্যুতির সৃষ্টি হয় :- উলম্বভাবে ক্রিয়া করা মহীভাবক আলোড়ন এর ফলে।  4. পৃথিবীর সর্ববৃহৎ চ্যুতির নাম হল:- আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান আন্দ্রিজ চ্যুতি।  5. চ্যুতি দ্বারা সৃষ্ট পৃথিবীর বৃহত্তম প্রস্ত উপত্যকা হল -- পূর্ব আফ্রিকার গ্রস্ত উপত্যকা । 6. চ্যুতিতলের উপরে অবস্থিত শিলাস্তূপ কে বলে— ঝুলন্ত প্রাচীর বা ঊর্ধ্বস্তুপ। 7. চ্যুতিতলের নীচে অবস্থিত শিলাস্তূপকে বলে—- পাদমূল প্রাচীর বা অধঃস্তুপ। ৪. শিলাস্তরের প্রসারণ বলের প্রভাবে :- স্বাভাবিক চ্যুতির সৃষ্টি হয়। 9. শিলাস্তরের সংকোচন বলের প্রভাবে:- বিপরীত চ্যুতির সৃষ্টি হয়। - 10. যে তল বরাবর শিলার ফাটলের অংশ উপরে বা নিচে ওঠানামা করে তাকে:- চ্যুতি তল বলে।  11. চ্যুতিতল অনুভূমিক তলের সাথে যে কোণে হেলে অবস্থান করে তাকে:- চ্যুতিতলের নতি বলে। 12. অনুভূমিক তলের সঙ্গে চ্য
  Q) আদর্শ ভাঁজের বিভিন্ন জ্যামেতিক উপাদান গুলি আলোচনা কর: নতি ও আয়ামের মধ্যে পার্থক্য লেখ:  (4+3)   (xi 2017) Answer) •ভাঁজের জ্যামিতিক বা গাঠনিক উপাদান:  কোন ভাঁজ এর যে অংশগুলির সাহায্যে ভাঁজগুলিকে চিহ্নিত করা যায় তাকে ভাঁজের জ্যামিতিক বা গাঠনিক উপাদান বলে। একটি আদর্শ ভাঁজের বিভিন্ন জ্যামিতিক উপাদান রয়েছে সেগুলি হল:- 1)ভাঁজের অক্ষ বা FOLD AXIS 2) অক্ষতল বা FOLD AXIAL PLANE 3) বাহু বা LIMB 4) নতি বা DIP 5) আয়াম বা STRIKE 6) গ্রন্থিবিন্দু বা HINGE 7) গ্রন্থিরেখা বা Hinge Line 8)  লক করা হয়, তাকে ভাঁজের জ্যামিতিক বা গাঠনিক উপাদান বলে। একটি আদর্শ ভাঁজে বিভিন্ন জ্যামিতিক উপাদান আছে। যেমন— * ক. ভাঁজ অক্ষ (Foldaxis): কোনো ভাঁজের অক্ষতল ও শিলার স্তরায়ণ তলের ছেদরেখাকে ভাঁজ অক্ষ বলে। বৈশিষ্ট্য : (i) ভাঁজের সবচেয়ে বেশি বক্রতাযুক্ত বিন্দুগুলিকে যোগ করে এই অক্ষ পাওয়া যায়। (ii) এই রেখা উল্লম্ব বা হেলানো হয়। অক্ষ বৈশিষ্ট্য : (i) ভাঁজ বাহু নতি গ্রন্থিরেখা বাহু * খ. অক্ষতল (Fold axial plane) : ভাঁজের সবচেয়ে উঁচু বিন্দুগুলিকে অনুসরণ করে শিলাস্তরের ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত কাটলে যে তল পাওয়া যায

ভাঁজ কাকে বলে? ভাঁজ সৃষ্টির কারণ গুলো লেখ ucchomadhymik suggestions HS geography Suggestions

  Q) ভাঁজ কাকে বলে? ভাঁজ সৃষ্টির কারণ গুলো লেখ: [Xi-2015] [2+5]  Written By....FIROZ MALLICK  উত্তর : • এক বা একাধিক বক্রতলের সমষ্টিকে ভাঁজ বলে। গিরিজনি আলোড়নের প্রভাবে শিলায় পার্শ্বচাপ পড়ে। ওই পার্শ্বচাপের ফলে নমনীয় পাললিক শিলাস্তরে সমান বা অসমানভাবে তরঙ্গের ন্যায় যে বক্রতার সৃষ্টি হয় তাকে ভাঁজ বা ফোল্ড বলে। ••ভাঁজ সৃষ্টির কারণ সমূহ (Causes of Formation of Fold): কোনো শিলাস্তরে বিভিন্ন কারণে ভাঁজের সৃষ্টি হয়। যেমন—  1) গিরিজনি আলোড়ন : পৃথিবীপৃষ্ঠে গিরিজনি আলোড়নের ফলে সৃষ্ট সংকোচন বলের প্রভাবে শিলাস্তর কুঞ্চিত হয়ে ভাঁজের আকার ধারণ করে।  2)পাতের ক্রিয়া : অভিসারী পাত সীমানা বরাবর দুটি পাত সামনে এলে মধ্যবর্তী পাললিক শিলাস্তরে ভাঁজের সৃষ্টি হয়। 3)অভিকর্ষজ টান : সমান্তরালভাবে বিন্যস্ত নরম শিলাগুলি অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে ক্রমশ সংকুচিত হয়ে ভাঁজ সৃষ্টি করে। 4)তাপীয় সংকোচন : পৃথিবী যতই তাপ বিকিরণ করে ক্রমশ শীতল হচ্ছে ততই তরল অবস্থা থেকে কঠিন হচ্ছে বলে শিলাস্তর সংকুচিত হলে ভূত্বকে ভাঁজ সৃষ্টি হয়। 5)পার্শ্বচাপ : ভূ-আলোড়নে অন্তর্জাত প্রক্রিয়ার ফলে শিলাস্তরের মধ্যে বিপরীতমুখী অনুভ

ভাঁজ / Fold HS geography Suggestions ucchomadhymik vugol suggestions

ভাঁজ/ FOLD ( All MCQ + SAQ) written By.......... FIROZ MALLICK  1) ভাঁজ   : গিরিজনি আলোড়নের প্রভাবে শিলায় পার্শ্বচাপ পড়ে। ওই পার্শ্বচাপের ফলে নমনীয় পাললিক শিলাস্তরে সমান বা অসমানভাবে তরঙ্গের ন্যায় যে বক্রতা সৃষ্টি হয় তাকে ভাঁজ বা বলি বলে। ভাঁজ সাধারণত পাললিক শিলায় পড়ে। তবে কখনো কখনো আগ্নেয় শিলায় হালকা ভাঁজ দেখা যায়।  ভাঁজের নিয়ন্ত্রকগুলি হল— 1. সংশ্লিষ্ট শিলার স্থিতিস্থাপকতা, কাঠিন্য, দৃঢ়তা, চাপ ও তাপ সহন ক্ষমতা।  2. ভূত্বকের সংকোচনের সময়ে উদ্ভূত চাপ ও তাপের পরিমাণ এবং এগুলির প্রাবল্য ও সময়কাল।  3. সংকোচন বলের তারতম্য। 2)কোন্ প্রকার আলোড়নে ভাঁজের সৃষ্টি হয়? উত্তর : গিরিজনি আলোড়নে ভাঁজের সৃষ্টি হয়।  3) অ্যান্টিফর্ম কী? উত্তর : কোনো ভাঁজের ওপরের অংশকে অ্যান্টিফর্ম বলে। 4)বাহুদেশ কী? উত্তর : কোনো ভাঁজের শীর্ষদেশ থেকে নিম্নদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত শিলাস্তরকে বাহুদেশ (Limb) বলে। 5) স্তরায়ণ তল কী? উত্তর : কোনো পাললিক শিলার দুটি স্তর যে তল দ্বারা বিচ্ছিন্ন থাকে, তাকে স্তরায়ণ তল বলে। 6)সিনফর্ম কী? উত্তর : কোনো ভাঁজের নীচের অংশকে সিনফর্ম বলে। 6)গ্রন্থিবিন্দু কী? উত্তর : কোনো ভা
 Q)ফরাজি আন্দোলনের বিবরণ দাও। এই আন্দোলনের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো। (মান 5+3) Answer) ভূমিকা : বাংলার কৃষক আন্দোলনের ইতিহাসে ফরাজি আন্দোলন এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। উৎপত্তি : ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের ফরিদপুরের হাজি শরিয়তউল্লাহ নামে জনৈক মুসলমান ধর্মজ্ঞানী 'ফরাজি' নামে এক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সৃষ্টি করেন। 'ফরাজি' কথাটির অর্থ হল ইসলাম নির্দিষ্ট বাধ্যতামূলক কর্তব্য। শরিয়তউল্লাহ ইসলাম ধর্মের মৌলিক সংস্কার করতে চেয়েছিলেন। •আদর্শ : শরিয়তউল্লাহ মনে করতেন যে, ব্রিটিশ শাসনাধীনে ভারতবর্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বসবাসের অযোগ্য হয়েছে। তিনি ভারতবর্ষকে 'দার-উল-হারব' (বিধর্মীয় দেশ) থেকে দার-উল-ইসলাম' (ইসলামের দেশ)-এ পরিণত করার ডাক দেন। এজন্য তিনি কলমা, রোজা, নামাজ, হজ প্রভৃতির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি কোরানে নেই এমন সব ক্রিয়াকলাপ, উৎসব-অনুষ্ঠান বর্জনের কথা বলেন। তিনি বলেন যে, আল্লাহ্ ধনসম্পদ বা বংশমর্যাদার ভিত্তিতে ভেদাভেদ মানেন না। সব মানুষই তাঁর কাছে সমান। •• রাজনৈতিক রূপ:- ধর্মীয় সংস্কারের জন্য ফরাজি আন্দোলনের সূত্রপাত হলেও অল্পদিনের মধ্যেই তা