উষ্ণতা তারতম্য অনুসারে বায়ুমণ্ডলের স্তর বিন্যাস কর Classification of the atmosphere Madhymik geography HS geography HS EVS atmosphere
Q) উষ্ণতা তারতম্য অনুসারে বায়ুমণ্ডলের স্তর বিন্যাস কর:- মাধ্যমিক ২০২০,২০১৮
Written by FIROZ MALLICK
Ans. উষ্ণতা তারতম অনুসারে বায়ুমণ্ডল কে মোট ছটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা
1.ট্রপোস্ফিয়ার।
2.স্ট্যাটোস্ফিয়ার।
3.মেসোস্ফিয়ার।
4.থার্মোস্ফিয়ার।
5.এক্সোস্ফিয়ার।
6.ম্যাগনেটোস্ফিয়ার।
1.ট্রপোস্ফিয়ার :- পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে নিরক্ষীয় অঞ্চলের ওপর 18 কিমি এবং মেরু অঞ্চলের ওপর ৮ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নিচের ঘন স্তরটি হলো ট্রপোস্ফিয়ার।
•বৈশিষ্ট্য: ১। এটি বায়ুমন্ডলের সবচেয়ে নিচের স্তর।
২. এই স্তরটির গড় উচ্চতা 14 কিলোমিটার। তবে নিরক্ষীয় অঞ্চলে 16কিমি এবং মেরু অঞ্চলে 8 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।
৩. এই স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতি কিমিতে ৬.৫° সেলসিয়াস উষ্ণতা হ্রাস পায়।
৪. ট্রপোস্ফিয়ারের উপরের অংশ ট্রপোপজ নামে পরিচিত।
৫. মেঘ বৃষ্টি ঝড়-ঝঞ্ঝা সমস্ত কিছু এই ট্রপোস্ফিয়ার স্তরেই দেখা যায় ।তাই একে ক্ষুব্ধ মন্ডল বলে।
৬. বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তনশীল আবহাওয়া দেখা যায় এই টপোস্ফিয়ারে।
2.স্ট্যাটোস্ফিয়ার:- ট্রপোস্ফিয়ার এর উপরে অবস্থিত ১৮ কিমি থেকে৫০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে গ্যাসগুলি শান্ত অবস্থায় থাকে তাকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বলে।
•বৈশিষ্ট্য:- ১. ট্রপস্ফিয়ারের ওপরের স্তর হল স্ট্যাটোস্ফিয়ার ।
২. এই স্তরের গড় উচ্চতা ১৮ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
৩. উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উষ্ণতা বাড়ে এই স্তরে।
৪. ওজোন গ্যাসের অধিক্য দেখা যায় এই স্তরে।
৫. স্ট্যাটোস্ফিয়ারের মধ্যে ১৫ থেকে ৩৫ কিলোমিটারের মধ্যে ওজন স্তর অবস্থিত।এই ওজন স্তর সূর্যের অতিবেগুনি রশির হাত থেকে জীবজগত কে রক্ষা করে।
৬.স্ট্যাটোস্ফিয়ারের উপরের অংশকে স্ট্রাটোপজ বলে।
৭. এই স্তরের মধ্যে জেট প্লেন চলাচল করে। (Mp ২০১৮)
৮. এই স্তরে মৌ মৌক্তিক/শুক্তি মেঘ দেখা যায়।
৯. এই স্তরে সব সময় বায়ুর শান্ত অবস্থা বিরাজ করে,তাই এই স্তরকে শান্তমণ্ডল বলে।
3.মেসোস্ফিয়ার:- স্ট্যাটোস্ফিয়ার এর উপরে 50কিমি থেকে 80 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমন্ডলে স্তরটিকে মেসোস্ফিয়ার বলে।
•বৈশিষ্ট্য:- ১.স্ট্যাটোস্ফিয়ারের উপরে স্তর হলো মেসোস্ফিয়ার।
২. এই স্তরের উচ্চতা হল ৫০ থেকে ৮০ কিলোমিটার।
৩. এই স্টোরি উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে উষ্ণতা কমতে থাকে।
৪. উল্কা পিণ্ডগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায় এই স্তরেই।(Madhymik 2018,)
৫. মেজোস্ফিয়ারে নৈশদ্যুতি মেঘ দেখা যায়।
৬. এই স্তরে বায়ুর চাপ খুব কম।
৭. এই স্তরে উষ্ণতা কমে -১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস হয়।
৮. মেসোস্ফিয়ারের ওপরে অংশ কে মেসোপজ বলে।
4.থার্মোস্ফিয়ার:- মেসোস্ফিয়ারের উপরে ৮০ কিমি থেকে ৫০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমন্ডলের স্তরতিনকে থার্মোস্ফিয়ার বলে।
•বৈশিষ্ট্য:-১.এই স্তরে দ্রুত তাপমাত্রা বাড়ে টাই এই স্তরকে থার্মোস্ফিয়ার বলে।
২. থার্মোস্ফিয়ারের অপর নাম হল আয়োনোস্ফিয়ার। কারণ এই স্তরের মধ্যে বস্তু কুনা গুলি আয়নিত অবস্থায় থাকে।
৩. এই স্তরের বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়।
৪. মেরূপ্রভা, মেরুজ্যোতি বা অরোরা এই স্তরে দেখা যায়।
৫. থার্মোস্ফিয়ারের উপরের অংশকে থার্মোপজ বলে বলে।
5.এক্সোস্ফিয়ার:-থার্মোস্ফিয়ারের ওপরে ৫০০ কিমি থেকে ৭৫০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমন্ডলের স্তরটি এক্সোস্ফিয়ার নামে পরিচিত।
•বৈশিষ্ট্য:-১. থার্মোস্ফিয়ারের ওপরে অবস্থিত বায়ুমণ্ডলের পঞ্চম স্তরটি হল এক্সোস্ফিয়ার।
২. এই স্তরটির বৃষ্টিতে ৫০০ থেকে ৭৫০ কিমি পর্যন্ত।
৩. এই স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উষ্ণতা বাড়তে থাকে।
৪. এই স্তরের গড় উষ্ণতা প্রায় ১৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫. এই স্তরে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের প্রাধান্য থাকে।
৬. এই স্তর ক্রমশ মহাশূন্যে বিলীন হয়।
6.ম্যাগনেটোস্ফিয়ার:-ওপর ৭৫০ কিমি থেকে ১০,০০০কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের শেষ স্তরটি হল ম্যাগনেটোস্ফিয়ার।
•বৈশিষ্ট্য:-১. বায়ুমন্ডলে সবচেয়ে উচ্চতম এবং শেষ স্তরটি হল ম্যাগনেটোস্ফিয়ার।
২. এই স্তরটির বিস্তৃতি হল ৭৫০ থেকে ১০ হাজার কিমি।
৩. এই স্তরটিকে ইলেকট্রন ও প্রোটন গঠিত চৌম্বক ক্ষেত্র বেষ্টন করে আছে। চৌম্বক ক্ষেত্র থাকায় এই স্তরের নাম ম্যাগনেটোস্ফিয়ার।
৪. সূর্য থেকে আগত সৌরবায়ু এই স্তরে আবদ্ধ হয়।
৫. ম্যাগনেটোপজে পৃথিবীর চুম্বক ক্ষেত্র থেমে যায়।
৬. নিরক্ষীয় অঞ্চলের দুটি ম্যাগনেটপজ বলয়কে ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় বলে।
Comments
Post a Comment