স্থাপত্যের ইতিহাস চর্চার বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব গুলো আলোচনা কর অথবা ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে স্থাপত্যের অবদান গুলি লেখ madhymik history
Q)স্থাপত্যের ইতিহাস চর্চার বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব গুলো আলোচনা কর:- or ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে স্থাপত্যের অবদান গুলি লেখ:-
Written by..... FIROJ MALLICK
নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে স্থাপত্যের ইতিহাসচর্চায় ঐতিহাসিকদের আগ্রহ লক্ষ করা যায়। এই ইতিহাসচর্চার মূল লক্ষ্য হল স্থাপত্যের গঠনশৈলী ও স্বাতন্ত্র্যকে খুঁজে বের করা।
বৈশিষ্ট্য : ১)স্থাপত্যের ইতিহাসচর্চায় ভারতীয় স্থাপত্যে ইউরোপীয় প্রভাব চিহ্নিত করা হয়। স্থাপত্যরীতির অন্বেষণ, বিবর্তন পর্যালোচনা করা এই ধরনের ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য। স্থাপত্যরীতির পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক সমন্বয়ের বিষয়টি চিহ্নিত করা হয় এই ধরনের ইতিহাসচর্চায়। যেমন সুলতানি যুগে ইসলামিক ও ভারতীয় শিল্পরীতির উদ্যোগে ইন্দো-ইসলামীয় শিল্পরীতির উদ্ভব হয়।
২)স্থাপত্য ইতিহাসচর্চায় স্থাপত্যগুলির প্রতিষ্ঠাকাল, প্রেক্ষাপট ও প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি চিহ্নিত করা হয়। মূলত ধর্মীয় উদ্দেশ্যে বা প্রশাসনিক প্রয়োজনে বা নান্দনিকতার উদ্দেশ্যে স্থাপত্যগুলি নির্মিত হত। এ সবই স্থাপত্যের ইতিহাসচর্চায় চিহ্নিত করা হয়।
৩)স্থাপত্যের ইতিহাসচর্চার মাধ্যমে ঐতিহাসিকগণ সামাজিক বিচলনীয়তার বিষয়টিও বিশ্লেষণ করেন।
৪)স্থাপত্যে শাসকগোষ্ঠী বা পৃষ্ঠপোষকদের মানসিকতা প্রতিফলিত হয়। এই সংক্রান্ত চর্চার মধ্যে তা স্পষ্ট হয়।
••স্থাপত্যের ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব গুলি হল:-
১) স্থাপত্য গুলির মধ্যে থেকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক ইতিহাসের অনেক উপাদান পাওয়া যায়।
২)কারা, কী উদ্দেশ্যে স্থাপত্যগুলি নির্মাণ করেছিলেন তা জানতে পারলে স্থাপত্য কীর্তির প্রয়োজনীয়তা বা উপযোগিতার বিষয়টিও জানা যায়।
৩)স্থাপত্য কীর্তিগুলি থেকে পৃষ্ঠপোষকদের সম্পর্কে জানা যেতে পারে। পৃষ্ঠপোষকদের সম্পর্কে জানতে পারলে সংশ্লিষ্ট সময়ের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ইতিহাস সম্পর্কে জানা সম্ভবপর হয়। এইগুলিই হল স্থাপত্যের ইতিহাসচর্চার গুরুত্ব।
Comments
Post a Comment